ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন (Foot and Mouth Disease Vaccine)
ক্ষুরা রোগ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এ রোগকে অঞ্চলভেদে ক্ষুরাচল, চপচপিয়া বা বাতনাও বলে থাকে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি দ্বিক্ষুরবিশিষ্ট প্রাণী এ রোগে আক্রান্ত হয়। জ্বর, মুখে ও পায়ে ফোসকাসহ যা এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ রোগে আক্রান্ত বয়স্ক পশুতে মৃত্যুর হার কম হলেও আক্রান্ত বাছুরের মৃত্যু হার অনেক বেশী। নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রদান করে রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
টাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন: এই ভ্যাকসিনেA, O এবং Asia-1 সেরোটাইপ একত্রে থাকে।
আকসিন মাস্টার সিড: লোকাল স্ট্রেইন।
অরিজিন: প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাভার, ঢাকা।
ব্যবহারবিধি:
১. গরু/মহিষে ৬ মিলি মাত্রায়, বাছুরে ৩ মিলি মাত্রায় এবং ছাগল/ভেড়ায় ২মিলি মাত্রায় ঘাড়ের চামড়ার নীচে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয়।
২. মায়ের ভ্যাকসিন দেয়া না থাকলে ১ (এক) মাস বয়সের এবং মায়ের ভ্যাকসিন দেয়া থাকলে ৪ (চার) মাস বয়সের বাছুরে এই ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ প্রয়োগ করতে হয়।
৩. ভ্যাকসিন প্রদানের ২১ দিন পর বুস্টার ডোজ প্রয়োগ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪. এই ভ্যাকসিন সুস্থ পশুতে ৬ (ছয়) মাস পর পর প্রয়োগ করতে হয়।
সতর্কতা
১. এ ভ্যাকসিন ২০ থেকে ৮০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নীচের তাপমাত্রায় অথবা সাধারন তাপমাত্রায় (রুম টেম্পারেচারে) সংরক্ষণ করা যাবে না।
২. গর্ভবতী গাভীকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যাবে। গর্ভবতী গাভীকে ভ্যাকসিন দেয়া থাকলে নবজাতকের এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে যা (চার) মাস বয়স পর্যন্ত বজায় থাকে, ফলে বাছুরের মৃত্যুহার অনেক কমে যায়।
৩. এ ভ্যাকসিনসরবরাহ ও প্রয়োগের সময় অবশ্যই কুলবক্স বা বরফসহ ফ্লাক্স ব্যবহার করতে হবে।
সরবরাহ:
ট্রাইভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন: প্রতি ভায়ালে গরু/মহিষের জন্য ১৬ মাত্রা এবং ছাগল/ভেড়ার জন্য ৪৮ মাত্রা ভ্যাকসিন।
সেবা মূল্য: ৪০০.০০ টাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন