মুরগির রাণীক্ষেত টিকা
Ranikhet Disease Vaccine (RDV)
টিকার মাস্টার সীড: মেসোজেনিক মুক্তেসর এম (M) স্ট্রেইন।
অরিজিন: খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)
ব্যবহার বিধি:
(১) প্রতি ভায়ালে ০.৩ এমএল মূল টিকা হিমশুষ্ক অবস্থায় থাকে। প্রতি ভয়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে। এই টিকার রং সাদা।
(২) টিকার মিশ্রণ তৈরির জন্য জীবাণুমক্ত ও পরিষ্কার ঢাকনাযুক্ত পাত্র, সিরিঞ্জ, নিডিল ও পরিশ্রুত পানি প্রয়োজন। পানির তাপমাত্রা ২০ থেকে ৮০ সেলসিয়াস হওয়া বাঞ্ছনীয়। প্রথমে পাত্রে ১০০ এমএল পরিশ্রুত পানি মেপে নিতে হবে। তারপর সিরিঞ্জের সাহায্যে ১০০ এমএল থেকে কিছু পরিশ্রুত পানি ভায়ালে ঢুকিয়ে নিতে হবে। টিকা পুরোপুরি গুলানোর জন্য ভায়ালটি আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। টিকা পুরোপুরি গুলে গেলে উক্ত মিশ্রণ পাত্রের অবশিষ্ট পরিশ্রুত পানির সঙ্গে উত্তমরুপে মিশিয়ে নিতে হবে। পাত্র থেকে টিকার মিশ্রণটি সিরিঞ্জে ভরে নিতে হবে। টিকা প্রয়োগের জন্য পাখির পায়ের মাংসল জায়গা থেকে পালকগুলি সরিয়ে ১ এমএল টিকা মাংসে প্রয়োগ করতে হবে।
(৩) ২ মাস বা ততোধিক বয়স্ক মুরগিকে এই টিকা দিতে হবে। এই টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা ৬ মাস স্থায়ী হয়। তাই ৬ মাস অন্তর অন্তর এই টিকা প্রয়োগ করতে হয়।
(৪) টিকা দেয়ার সময় যদি কোন মোরগ-মুরগি ককসিডিওসিস, এসপারজিলোসিস, গামবোরো, কৃমি বা অপুষ্টি জনিত রোগে আক্রান্ত থাকে তাহলে রোগ থেকে আরোগ্য লাভের পর পুনরায় রাণীক্ষেত রোগের টিকা প্রদান করতে হয়। কারণ উপরোক্ত রোগ সমূহে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মোরগ-মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
(৫) সুস্থ মোরগ-মুরগিকেই এই টিকা দিতে হবে। খামারে রাণীক্ষেত রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত মোরগ-মুরগিকে টিকা দেওয়া যাবে না তখন আক্রান্ত মোরগ-মুরগি আলাদা করে ফেলতে হবে। যে সমস্ত মোরগ- মুরগির রাণীক্ষেত রোগ দেখা দেয়নি সেগুলিকে নিয়ম মাফিক টিকা দিতে হবে। অসুস্থ মুরগির সংস্পর্শে আসা সুস্থ মুরগির দেহে জীবাণু লুকিয়ে থাকার ফলে টিকা দেয়ার পরও এরা আক্রান্ত হতে পারে। তবে যে সব মোরগ- মুরগির দেহে জীবাণু নেই তাদের ক্ষেত্রে টিকা প্রদানের ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে।
সরবরাহ: প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা।
মুল্য: প্রতি ভায়াল ১৫.০০ টাকা মাত্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন