ভ্যাকসিনের গুনগতমান অক্ষুন্ন রাখতে করণীয়
১. তরল এবং হিমশুষ্ক উভয় প্রকার ভ্যাকসিন পরিবহন করতে বরফ/আইস ব্যাগসহ ফ্লাস্ক বা কুলবক্স ব্যবহার করুন। সঠিকভাবে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, পরিবহন এবং সময়মতো প্রয়োগ না করা ভ্যাকসিন অকার্যকর হওয়ার অন্যতম কারণ।
২. সরবরাহকৃত তরল ভ্যাকসিনসমূহ রেফ্রিজারেটরে ২০ - ৮°সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। এই ভ্যাকসিন শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে না। হিমশুষ্ক ভ্যাকসিনসমূহ শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচের তাপমাত্রায় বা বরফপাত্রে সংরক্ষণ করুন।
৩. হিমশুষ্ক ভ্যাকসিনসমূহে সরবারহকৃত ডাইল্যুয়েন্ট (ভ্যাকসিনের দ্রবণ) এবং যে সকল ভ্যাকসিনের সাথে ডাইল্যুয়েন্ট সরবরাহ করা হয় না সেগুলোর ক্ষেত্রে বাজারে প্রাপ্ত ডিস্টিল্ড ওয়াটার (পরিশুদ্ধ পানি) ব্যবহার করুন।
৪. হিমশুষ্ক ভ্যাকসিনসমূহ একবার ডাইল্যুয়েন্ট বা ডিস্টিল্ড ওয়াটারে মিশ্রিত করার পর ২ (দুই) ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন ব্যবহার শেষ করুন। ভায়ালে অব্যবহৃত ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না।
৫. ভ্যাকসিন প্রয়োগের পূর্বে সিরিঞ্জ, সূচ ও আনুসঙ্গিক পাত্রসমূহ জীবানুমুক্ত করে নিন।
৬. ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর ভ্যাকসিনের অব্যবহৃত অংশ, ভায়াল, ক্যাপ, রাবার স্টপার, একবার ব্যবহার উপযোগী সূচ মাটির নিচে পুঁতে ফেলুন বা পুড়িয়ে ফেলুন।
৭. আপনার সুস্থ-সবল গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগিকে নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করুন।
৮. ভ্যাকসিন প্রয়োগের এক থেকে দুই সপ্তাহ পূর্বে আপনার গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগিকে কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন