শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

ডাকপ্লেগ ভ্যাকসিন (Duck Plague Vaccine)

 ডাকপ্লেগ ভ্যাকসিন (Duck Plague Vaccine)


ডাকপ্লেগ হাঁসের একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হাঁসের ছানা ৩-৪ দিনের মধ্যে মারা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সবুজ বর্ণের পাতলা পায়খানা, কিছু ক্ষেত্রে পানির মত ডায়রিয়া, চোখে পিচুটি লেগে থাকা, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটা, প্যারালাইসিস এবং মৃত্যুর পর হাঁসের পুরুষাঙ্গ বাইরে বের হয়ে আসা এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ রোগে আক্রান্ত হাঁসের মৃত্যুর হার প্রায় শতকরা নব্বই ভাগ।


ভ্যাকসিনের মাস্টার সীড: দেশীয় (Local) স্ট্রেইন।


অরিজিন: প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা।


ব্যবহারবিধি:


১. ছোট কাঁচের ভায়ালে ১০০ মাত্রা ভ্যাকসিন থাকে। ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য পরিশ্রুত পানি, জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার ঢাকনাযুক্ত পাত্র এবং সিরিঞ্জ- নিডিল প্রয়োজন হয়।


২. জীবানুমুক্ত পাত্রে ১০০ মিলি পরিশ্রুত পানি মেপে নিতে হয়। অতঃপর এই পানি থেকে কিছু পানি সিরিঞ্জের সাহায্যে ভায়ালে প্রবেশ করাতে হয়। ভায়ালের ভ্যাকসিন ভালভাবে গুলে গেলে এই মিশ্রণ পাত্রে রক্ষিত পরিশ্রুত পানির সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হয়। মিশ্রিত ভ্যাকসিন হাঁসের বুকের মাংসে ১ মিলি করে দিতে হয়। ৩ সপ্তাহ বয়সের হাঁসের বাচ্চাকে প্রথম ভ্যাকসিন দিতে হয়। প্রথম ভ্যাকসিন দেয়ার ২১তম দিনে বুস্টার ডোজ দিতে হয়।


৩. ছয় মাস পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে। তাই ৬ মাস পর পর এই ভ্যাকসিন দিতে হয়।


৪. খামারে রোগ দেখা দিলে সুস্থ হাঁস আলাদা করে এই ভ্যাকসিন দিতে হয়।


৫. ভ্যাকসিন মিশ্রিত করার ২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।


সরবরাহ: প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা ভ্যাকসিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভ্যাকসিনের গুনগতমান অক্ষুন্ন রাখতে করণীয়

ভ্যাকসিনের গুনগতমান অক্ষুন্ন রাখতে করণীয় ১. তরল এবং হিমশুষ্ক উভয় প্রকার ভ্যাকসিন পরিবহন করতে বরফ/আইস ব্যাগসহ ফ্লাস্ক বা কুলবক্স ব্যবহার কর...

জনপ্রিয় পোস্ট