শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

তড়কা ভ্যাকসিন (Anthrax Vaccine)

 তড়কা Bacillusanthracis নামক ব্যাকটেরিয়াজনিত অতি তীব্র ও মারাত্মক ধরনের রোগ। এটি একটি জুনোটিক রোগ। সাধারনত ঘাস বা খড়ের সাথে এ রোগের জীবাণু দেহে প্রবেশ করে। এ রোগের জীবাণু মাটিতে বহু বছর বেঁচে থাকতে পারে। বিশ্বের সকল দেশের গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীরও এ রোগ হতে দেখা যায়। সাধারণত বর্ষাকালের প্রথমদিকে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। আক্রান্ত পশুর আকস্মিক মৃত্যু, উচ্চ তাপমাত্রায় (১০৪০ থেকে ১০৮°ফা.) মৃত্যুর পর নাক-মুখ ও পায়ুপথ দিয়ে কালচে রং-এর রক্ত বের হয়ে আসা এ রোগের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ।


ভ্যাকসিনমাস্টার সিড: F2-34 Sterne Strain

অরিজিন: অস্ট্রেলিয়া


ব্যবহারবিধি:


১. গরু, মহিষ ও ঘোড়ায় ১ মিলি মাত্রায় এবং ছাগল/ভেড়ায় ০.৫ মিলি মাত্রায় ঘাড়ের চামড়ার নীচে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয়। ছয় মাস বা তদুর্ধ্ব বয়সের গরু মহিষে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।

২. যে সমস্ত এলাকায় Anthrax রোগ হওয়ার ইতিহাস রয়েছে অর্থাৎ Enzootic area-তে নিয়মিতভাবে বছরে ১ বার এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয়।

৩. সাধারণত এ ভ্যাকসিন প্রয়োগের ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই পশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়।

৪. ভ্যাকসিন দেওয়া হলে ভ্যাকসিন প্রদানের স্থান ফুলে যেতে পারে এবং জ্বালা-পোড়া হতে পারে।

৫. ছয় মাসের ঊর্ধ্বে গর্ভবতী গাভীকে ভ্যাকসিন প্রয়োগে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভবনা থাকে বিধায় উক্ত সময়ে ভ্যাকসিন প্রদান না করাই উত্তম।

৬. দুগ্ধবতী গাভীকে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে দু'এক দিনের জন্য দুধের উৎপাদন কিছুটা কমে যায়। অবশ্য পরে আস্তে আস্তে উৎপাদন স্বাভাবিক হয়ে আসে।

৭. আংশিক বা সম্পূর্ণ ব্যবহৃত ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিন ভায়াল যথাযথভাবে নষ্ট করে ফেলতে হবে।


সতর্কতা:

এ রোগের প্রাদুর্ভাব এলাকায় ছাগল/ভেড়ায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাগলে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরই বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় লাফালাফি শুরু করে। তাই ছাগল-ভেড়ায় খুব সাবধানে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হয়।


সরবরাহ: প্রতি ভায়ালে গরু, মহিষ, ঘোড়ার জন্য ১০০ মাত্রা ভ্যাকসিন এবং ছাগল/ভেড়ার জন্য ২০০ মাত্রার ভ্যাকসিন।

সেবা মূল্য: প্রতি ভায়াল ৮০.০০ টাকা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভ্যাকসিনের গুনগতমান অক্ষুন্ন রাখতে করণীয়

ভ্যাকসিনের গুনগতমান অক্ষুন্ন রাখতে করণীয় ১. তরল এবং হিমশুষ্ক উভয় প্রকার ভ্যাকসিন পরিবহন করতে বরফ/আইস ব্যাগসহ ফ্লাস্ক বা কুলবক্স ব্যবহার কর...

জনপ্রিয় পোস্ট