শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

হাঁস-মুরগির কলেরা ভ্যাকসিন

 হাঁস-মুরগির কলেরা ভ্যাকসিন (Fowl Cholera Vaccine)


হাঁস-মুরগির কলেরা গৃহপালিত ও বন্য পাখির একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। পাস্তুরেলা মাল্টোসিডা টাইপ-এ (Pasteurella multocida type -A) নামক ব্যকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি মূলত আক্রান্ত পাখি থেকে সুস্থ পাখিতে অথবা আক্রান্ত বা বাহক পাখির মল ও অন্যান্য নিঃসরণ দ্বারা পানি ও খাদ্য দূষণের মাধ্যমে অন্য সুস্থ পাখিতে ছড়ায়। উচ্চ আক্রান্তের হার ও অধিক মৃত্যু এবং সবুজ বা হলুদ ডায়রিয়া এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সব বয়সী পাখি এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে তবে বয়স্ক পাখি অধিক সংবেদনশীল।


ভ্যাকসিনের মাস্টার সিড: লোকাল স্ট্রেইন।


অরিজিন: প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা।


ব্যবহারবিধি: অয়েল এ্যাডজুভেন্ট ভ্যাকসিন ২ মাস বা তদুর্ধ্ব বয়সী হাঁস-মুরগিকে চামড়ার নীচে ১ মিলি করে প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম ভ্যাকসিন প্রয়োগের ১৫ দিন পর বুস্টার ডোজ, এরপর ৬ মাস অন্তর অন্তর ভ্যাকসিন দিতে হয়। ভ্যাকসিনে অয়েল এ্যাডজুভেন্ট থাকে বিধায় তা মাংসপেশীতে প্রয়োগ করলে মাংস নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে হাঁস-মুরগি খোঁড়া হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও অল্প বয়স্ক হাঁস-মুরগিতে (২ মাস বয়সের নীচে) প্রয়োগ করলে অনেকক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই ভ্যাকসিন কোন অবস্থায়ই শূন্য ডিগ্রি (০০) সেলসিয়াস বা তার নীচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে না।


সংরক্ষণ: ২°থেকে ৮° সেলসিয়াস।


সরবরাহ: প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা।


সেবা মূল্য: প্রতি ভায়াল ৫০.০০ টাকা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভ্যাকসিনের গুনগতমান অক্ষুন্ন রাখতে করণীয়

ভ্যাকসিনের গুনগতমান অক্ষুন্ন রাখতে করণীয় ১. তরল এবং হিমশুষ্ক উভয় প্রকার ভ্যাকসিন পরিবহন করতে বরফ/আইস ব্যাগসহ ফ্লাস্ক বা কুলবক্স ব্যবহার কর...

জনপ্রিয় পোস্ট